Posts

কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা

Image
 কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা কামরাঙ্গার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Averrhoa carambola Linn , এবং এর ইংরেজি নাম Chinese gooseberry বা Carambola । এটি Oxalidaceae পরিবারের Averrhoa গণের অন্তর্ভুক্ত একটি ফলদ বৃক্ষ। এর উৎপত্তি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ভূমিকা কামরাঙ্গা একটি চিরসবুজ ছোট থেকে মাঝারি আকৃতির গাছের টকমিষ্টি ফল। গাছটি সাধারণত ১৫-২৫ ফুট লম্বা হয়। গাছের ডালপালা ঘনভাবে ছড়ানো থাকে, পাতাগুলো যৌগিক এবং ১-৩ ইঞ্চি লম্বা। এর বাকল মসৃণ এবং কালো রঙের। ফলটি ৩-৬ ইঞ্চি ব্যাসের হয় এবং ভাজযুক্ত আকৃতির। কাঁচা অবস্থায় ফল সবুজ থাকে, আর পাকলে হলুদ হয়ে যায়। কামরাঙ্গার স্বাদ টক অথবা টকমিষ্টি হতে পারে। কিছু গাছ একাধিকবার বা সারাবছর ফল প্রদান করতে সক্ষম। এটি ভিটামিন এ এবং সি-এর একটি ভালো উৎস। সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে এই ফল পাওয়া যায়। কামরাঙ্গার ব্যবহার কামরাঙ্গা পুরো ফলটাই পাতলা ত্বকসহ খাওয়া যায়। ফলটি কচকচে এবং রসালো, এতে আঁশ নেই এবং এর প্রকৃতি অনেকটা আঙুরের মতো। পাকা কামরাঙ্গা...

আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

Image
 আমড়া খাওয়ার উপকারিতা আমড়া (ইংরেজিতে Hog Plum) একটি ধরনের ফল যা মাঝারি আকারের পর্ণমোচী বৃক্ষে উৎপন্ন হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Spondias pinnata Kurz. (বা Spondias mombin ) এবং এটি Anacardiaceae পরিবারভুক্ত। ভূমিকা আমড়ার গাছ সাধারণত ২০-৩০ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি যৌগিক পাতায় ৮-৯ জোড়া পত্রক থাকে, যার পত্রদন্ড ৮-১২ ইঞ্চি লম্বা এবং পত্রকগুলো ২-৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। কাঁচা ফল সাধারণত টক বা টকমিষ্টি হয়, তবে ফল পাকলে টকভাব কমে মিষ্টি হয়ে যায়। ফলের বীজ কাঁটাযুক্ত। গাছ ৫-৭ বছরের মধ্যেই ফল দিতে শুরু করে। এই ফল কাঁচা বা পাকা অবস্থায় রান্না করে কিংবা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। আমড়া সাধারণত আগস্ট মাসে বাজারে পাওয়া যায় এবং অক্টোবর পর্যন্ত উপলব্ধ থাকে। উপাদান আমড়া একটি কষ ও অম্ল স্বাদযুক্ত ফল। এতে প্রায় ৯০% জল, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট এবং সামান্য পরিমাণ প্রোটিন থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি থাকে ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম এবং ...

বিউটিফুল স্পট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত(Beautiful spot Cox's Bazar beach)

Image
 বিউটিফুল স্পট কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত(Beautiful spot Cox's Bazar beach) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত একটি মনোরম প্রাকৃতিক সৈকত। ১২০ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) দৈর্ঘ্যের এই সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। ভূমিকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম অখণ্ডিত সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, পুরো সৈকতটি বালুকাময়, যেখানে কাদার কোনো চিহ্ন নেই। বালিয়াড়ির পাশে রয়েছে শামুক, ঝিনুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রবাল সমৃদ্ধ বিপণি বিতান। পাশাপাশি, অত্যাধুনিক হোটেল-মোটেল-কটেজ এবং বার্মিজ মার্কেটগুলো নিত্য নতুন সাজে সজ্জিত থাকে, যা পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। এই সমুদ্র সৈকত তার মায়াবী ও রূপময়ী সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন ও প্রতিক্ষণ এর রূপ পরিবর্তন করে, যা ঋতু অনুযায়ী নয় বরং সময়ের প্রবাহে ভিন্নতা সৃষ্টি করে। প্রত্যুষের এক রকম সৌন্দর্য মধ্যাহ্নে অন্য রকম হয়ে ওঠে। শীত, বর্ষা, বসন্ত কিংবা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এর অনন্য সৌন্দর্য অপরিবর্তিত থাকে। প্...

কফির বীজ সংরক্ষণের উপায়

Image
 কফির বীজ সংরক্ষণের উপায় গুঁড়া কফির তুলনায় ‘কফি বিন’ দীর্ঘদিন স্বাদ ও মান ধরে রাখতে সক্ষম। তাই, প্রতিবার কফি তৈরি করার সময় যদি কফি বিন গুঁড়া করে ব্যবহার করা সম্ভব হয়, তবে সেটাই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। কফি নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাতাস, তাই কফি সংরক্ষণ করতে হবে বায়ুরোধক কৌটায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য কেবল বায়ুরোধক কৌটা যথেষ্ট নয়; কৌটার ভেতর সম্পূর্ণ বায়ুশূন্য বা ‘ভ্যাকিউম’ পরিবেশ থাকা জরুরি। কফি তাপ ও সূর্যের আলো থেকেও দূরে রাখতে হবে। ফ্রিজে কফি রাখা উচিত নয়। কারণ, ফ্রিজে থাকা বিভিন্ন কাঁচা ও রান্না করা খাবারের গন্ধ কফির স্বাদে মিশে যেতে পারে। একই সঙ্গে ফ্রিজের ঠান্ডা পরিবেশ কফির প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নেয়, যা কফির স্বাদ দ্রুত নষ্ট করে। ভূমিকা ‘ফ্রিজার’ বা ‘ডিপ ফ্রিজ’-এ কফি সংরক্ষণ করা সম্ভব। এজন্য কফির আসল প্যাকেটটি একটি ‘জিপলক’ ব্যাগে রাখতে হবে। ব্যাগের ভেতর থেকে সব বাতাস বের করে তারপর ফ্রিজারে রাখতে হবে। ব্যবহার করার সময় কফি বের করে বরফ পুরোপুরি গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তব...

খেজুরের গুড় তৈরির উপায়

Image
 খেজুরের গুড় তৈরির উপায় খেজুর গুড় একটি প্রিয় খাবার, যা খেজুর গাছের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত সময়ে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। এরপর আগুনের তাপে রসকে ঘন করে শক্ত পাটালি গুড়ে রূপান্তরিত করা হয়। ধরণের ভিত্তিতে খেজুর গুড়কে বিভিন্ন ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়, যেমন ঝোলা গুড়, দানা গুড়, পাটালি গুড় এবং চিটাগুড়। ভূমিকা খেজুর রস ও গুড় অত্যন্ত সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। শীতকালে খেজুরের রস ও গুড় ব্যবহার করে পায়েস, বিভিন্ন শীতকালীন পিঠা, তালের পিঠা, খেজুর গুড়ের জিলাপি ইত্যাদি তৈরি করা হয়। স্বাদ ও গুণগত মানের ভিত্তিতে খেজুরের গুড়কে পাটালি, নলেন গুড় এবং হাজারী গুড় নামে পরিচিত করা হয়। খেজুর গুড়ের মাধ্যমে শিল্পোন্নয়ন খেজুরের গুড় থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এই গুড়কে কেন্দ্র করে একটি লাভজনক শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। গ্রামীণ অঞ্চলে এই শিল্প চালু হলে স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। ইতিহাস ভারতে পাম গুড় ও পাম পণ্...

ছানার জিলাপি তৈরির পদ্ধতি

Image
 ছানার জিলাপি তৈরির পদ্ধতি জিভে জল আনা মিষ্টিগুলোর মধ্যে ছানার জিলাপি অন্যতম। এটি খেতে দারুণ নরম এবং রসে ভরা। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ছানার জিলাপি তৈরির রেসিপি। এই রেসিপিটি খুবই সহজ, যা আপনিও বাড়িতে সহজেই তৈরি করতে পারবেন। বিশেষ করে রমজানে ইফতারের জন্য এটি একটি চমৎকার মিষ্টি হতে পারে। ভূমিকা ছানার জিলাপি বাঙালির অন্যতম প্রিয় একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। এর আকর্ষণীয় স্বাদ, নরম টেক্সচার এবং রসে ভরা মিষ্টত্ব যে কারও মন জয় করে নিতে পারে। বিশেষ করে উৎসব বা পারিবারিক আয়োজন ছাড়াও এটি রমজানের ইফতারে একটি জনপ্রিয় আইটেম। ছানার জিলাপি শুধু খেতে সুস্বাদুই নয়, এটি ঘরে তৈরি করাও বেশ সহজ। তাই যারা মিষ্টি পছন্দ করেন এবং নতুন কিছু তৈরির অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাদের জন্য ছানার জিলাপি একটি আদর্শ রেসিপি। শিরার উপকরণ: চিনি: দেড় কাপ পানি: ২ কাপ জাফরান ও এলাচ গুঁড়া: সামান্য প্রস্তুত প্রণালি: ১. সুজি ১ চা-চামচ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। ২. একটি পাত্রে চিনি, পানি এবং দারুচিনি দিয়ে শিরা তৈরি করু...